নাগেশ্বরীতে প্রতিমা ভাংচুর ও জমি দখলের মিথ্যা মামলা দিয়ে সুনাম নষ্ট করায় মামলার বাদী ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলণ
নাগেশ্বরী প্রতিনিধি:
নাগেশ্বরীতে প্রতিমা ভাংচুর ও জমি দখলের মিথ্যা মামলা দিয়ে সুনাম নষ্ট করায় মামলার বাদী ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলণ করেছে বিবাদীর পরিবার। শুক্রবার সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব নাগেশ্বরী কার্যালয়ে এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান জমি ক্রেতা শহিদুল্লাহর বাবা হাসনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ইদ্রিস আলী।
এসময় তিনি বলেন, দীর্ঘ দুই যুগ ধরে তিনি হাসনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ১৫ জুলাই প্রতিবেশী নরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে মন্তের নিকট ৩ শতক জমি ক্রয় করেন তার ছেলে শহিদুল ইসলাম। যার দলিল নং ৪৭০৭/২০। পরবর্তীতে তারা এর দখল নিতে চাইলে মন্তের ভাই ও জ্ঞাতীরা ফুপাত ভাই ইউপি সদস্য হরেন্দ্র নাথ রায়ের নেতৃত্বে তাদের কাছে আরো অতিরিক্ত টাকা দাবী করেন। এতে আপত্তি জানালে তারা তাদের জমির দখল বুজে দিতে টালবাহানা করতে থাকে। এনিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে একাধিক শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১ নভেম্বর মন্তে তাদেরকে জমির দখল বুজে দিলে তারা সে জায়গা টিন দিয়ে ঘিরে নেয়। এটি দেখে হরেন্দ্র নাথ মন্তের ভাই ও জ্ঞাতীরাসহ লাঠি সোডা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া করলে শহিদুল্লাহ তার শ্রমিকদের নিয়ে পিছু হটে। ফিরে এসে মন্তের জেঠাতো ভাই তিলক চন্দ্রের বাড়ীর উঠোনে তার পারিবারিক মন্দিরে ঢুকে হরেন্দ্র নাথ নিজ হাতে প্রতিমা ভাংচুর করে বাইরে বের হয়ে কান্নাকাটি করে বলতে থাকেন ইদ্রিস আলীর পরিবারের লোকজন তাদের প্রতিমা ভেঙ্গেছেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় সে মন্তের ভাই হরিশচন্দ্রকে দিয়ে তাদের ৭ জনকে আসামী করে নাগেশ্বরী থানায় প্রতিমা ভাংচুর ও জমি দখলের মিথ্যা মামলা করেন। এ মামলায় এখনো জেলে আছেন শহিদুল্লাহ। মিথ্যা মামলা দিয়ে সে এ এলাকার দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের পায়তারা চালাচ্ছে। সুনাম নষ্ট করছে আমাদের। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদ সম্মেলণে উপস্থিত ছিলেন আ. জলিল, আকরামুল হক, খোরশেদ আলম, আফজাল হোসেন, আরিফুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাবেক সাধারন সম্পাদক রবীন্দ্র নাথ চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মী।